Site icon লোকাল সংবাদ

আইআইটি খড়গপুরে তৈরি হচ্ছে প্রতিরক্ষায় ব্যবহারের ড্রোন, পরাস্ত হবে শত্রুরা

আইআইটি খড়গপুর

প্রতিনিধত্বমুলক

প্রযুক্তি যত উন্নত হবে ততই শক্তিশালী হবে সেই দেশ। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যদি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও বেশি মজবুত করে তোলা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এমনই একটি কাজের উদাহরণ আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। রাজ্যের আইআইটি খড়গপুরে তৈরি হয়েছে ড্রোন। এই অত্যাধুনিক ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও কাজে লাগবে।

শেষপর্যন্ত ড্রোন তৈরিতে বড় সাফল্য পেল আইআইটি খড়গপুর। অত্যাধুনিক গ্রহণ তৈরিতে সহযোগিতা করছে আইআইটি খড়্গপুর। এই অত্যাধুনিক জনকে শুধুমাত্র আধুনিক বললে ভুল বলা হবে। বলা যেতে পারে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ড্রোন। খুব সহজেই মোকাবিলা করতে পারবে শত্রুপক্ষের। অনেকটা যুদ্ধ বিমানের মতো দেখতে। পেট্রল কিংবা মিথানলে এই ড্রোন চলবে বলে খবর।

যদি এই অত্যাধুনিক ড্রোনকে কেউ একঝলক দেখে নেয় তাহলে বিমান বলে ভুল করবে। অনেকটা যুদ্ধ বিমানের ক্ষুদ্র সংস্করণ। ভারত এতদিন পর্যন্ত বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন কিনে আসছে। তবে আইআইটি খড়গপুরের সহায়তায় এবার দেশেই তৈরি হবে এই অত্যাধুনিক ড্রোন। এই ড্রোনের সবথেকে বড় সুবিধা হল একেবারে উপর থেকে ছবি তুলে নিতে পারবে। এমনকি এর গুণমান অত্যন্ত উন্নত। শত্রু ঘাঁটিতে হামলাও করতে পারবে বলেই খবর।

আরও পড়ুন: গ্রাহকেরা এবার থেকে নিজেরাই পাবে গ্যাস, আসছে অভিনব এলপিজি এটিএম পরিষেবা

সূত্র মারফত জানা গেছে যে, আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসের মধ্যেও একটা ওয়ার্কশপ থাকবে। ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়ে দিয়েছে যে ড্রোন তৈরিতে সহায়তা করছে আইআইটি খড়্গপুর। আধুনিক এই ড্রোন শুধুমাত্র যে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে তা কিন্তু নয়, কৃষি ক্ষেত্রেও এর অবদান অতুলনীয়। এর ক্ষমতা অনেক বেশি। কিন্তু ওজন যথেষ্ট হালকা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভুবনেশ্বরের বিখ্যাত ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা উইভিলস ড্রোনস ও আইআইটি খড়গপুরের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ। উন্নতমানের এই ড্রোন চালানো যাবে পেট্রল, মিথানল বা ব্যাটারিতে। এর গতি অত্যন্ত দ্রুত এবং আধুনিকতম ড্রোনের জন্য আর বিদেশের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হবে না। অত্যাধুনিক এই ড্রোন এবার থেকে তৈরি হচ্ছে দেশে। যার ফলে দেশের প্রতিরক্ষা এবং কৃষি আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হবে। যেকোন দেশকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে গেলে প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সেক্ষেত্রে অন্যান্য শক্তিশালী দেশের সাথে নিজের নামও তালিকায় যুক্ত করেছে ভারত।

Exit mobile version