Electric Bill Of Antilia: আম্বানির অ্যান্টিলিয়ার বিদ্যুতের বিল অবাক করার মত, দেখলে আঁতকে উঠবেন

Electric Bill Of Antilia: গোটা দেশজুড়ে গ্রীষ্মের দাপট ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, বসন্তের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের গরমকাল পড়লেই সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় হয় বিদ্যুতের খরচ। ফ্যান, এসি, কুলার সবকিছু বেশি ব্যবহারের ফলে দেশের প্রতিটি ঘরেই বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই বেশি হয়। বিল দিতে গিয়ে বাড়ির কর্তার তো মাথায় হাত। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বিশাল অ্যান্টিলিয়া বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কত আসতে পারে? টাকার অংকটি শুনলে আপনি আঁতকে উঠবেন। ২০১০ সালে প্রথমবার যখন অ্যান্টিলিয়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, সেই সময় এক মাসে এই বাড়ির বিদ্যুতের বিল এসেছিল ৭০ লক্ষ টাকা। ভাবছেন হয়তো সম্পূর্ণটি কোন গল্প, কিন্তু এটি একেবারে সত্যি ঘটনা।

পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বাধিক মূল্যবান বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ (Electric Bill Of Antilia)

ভারত তথা পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির এই বিলাসবহুল বাড়ির নাম অ্যান্টিলিয়া। মুম্বাইয়ের বুকে অবস্থিত এই বাড়িটিকে একপ্রকার আশ্চর্য জিনিস বলা চলে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক মূল্যবান বাড়ি, এবং বাড়িটির বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, শুধুমাত্র বিল্ডিংটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। একটি রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, প্রথম মাসে অ্যান্টিলিয়া মোট ৬,৩৭,২৪০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছিল, যার বিল দাঁড়ায় প্রায় ৭০,৬৯,৪৮৮/- টাকা।

লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুতের বিল

একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে, প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল মুকেশ আম্বানি খুব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দিয়েছিলেন এবং তার জন্য তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল ৪৮,৩৫৪/- টাকা। হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে যে, মোট বিলের পরিমান ছিল ৭১ লক্ষ টাকার বেশি। ৭০ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের খরচ মানে প্রায় ৭০০০ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক মাসের বিলের সমান।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমেও কনকনে ঠান্ডা থাকবে ট্যাঙ্কের জল, জেনে নিন গোপন টিপস

অ্যান্টিলিয়াতে এত বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের বিল আসার কারণ কি?

এই অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি বাড়িতেই অবস্থিত মুম্বাইতে। ২৭ তলা বিশিষ্ট এই অ্যান্টিলিয়া কিন্তু কোন সাধারণ বাড়ি নয়। পৃথিবীর সবথেকে উন্নত হাইটেক প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎচালিত নানারকম প্রযুক্তি বাড়িটিকে সচল রাখতে ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও বাড়িটিতে রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড, ১৮৬টি গাড়ি রাখার বিশাল পার্কিং লট, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার সুইমিংপুল, ৫০ আসনের প্রাইভেট সিনেমা হল, বিশাল জিম, পাশাপাশি রয়েছে বিলাসবহুল বিশাল আকারের মন্দির। বিশেষ ধরনের এয়ারকন্ডিশন সিস্টেম এই বাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতিটি রুমের জন্যই ব্যবহার করা হয়। এইসব প্রযুক্তিকে সক্রিয় রাখতে সাধারণের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় এবং সেই কারণে বিদ্যুতের খরচও স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়।

বিদ্যুতের বিল অবাক করার মত

একজন সাধারন মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবারে যেখানে প্রতিমাসে ৩০০ ইউনিট মত বিদ্যুৎ লাগে, অন্যদিকে বিলাসবহুল অ্যান্টিলিয়া এক মাসে ৬ লক্ষের বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ (Electric Bill Of Antilia)করে। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এবং সেইদিক থেকে দেখতে গেলে তার কাছে ৭০ লক্ষ টাকা কোন ব্যাপার না। যদি ব্যাপারটি একজন সাধারন মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় তাহলে এই বিশাল পরিমাণ টাকা শুধু স্বপ্ন। ৭০ লক্ষ টাকা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে বিদ্যুতের জন্য খরচ করা সম্ভব নয়।

এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন লোকালসংবাদের পেজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *