আজকাল নগদ টাকার ব্যবহার কমে গিয়ে অনলাইন ইউপিআই -এর মাধ্যমে টাকা পয়সার লেনদেন করার প্রচলন হয়েছে। আজকাল চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় কোনো শপিং মল সব জায়গাতেই কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা থাকে। তবে এর সঙ্গে অনলাইন প্রতারণার ফাঁদও বেড়ে চলেছে দিনদিন। দেশ জুড়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে সর্বশান্ত হতে হয়েছে এমন নমুনা কম নয়। তাই অনলাইনে রাস্তাঘাটের যেকোনো দোকানে টাকা দেওয়ার আগে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে জেনে নিন।
১. সোর্স ভেরিফিকেশন:
কোনো দোকান বা রেস্তোরাঁয় কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় তা নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে আসছে কিনা সেটা বুঝে নিতে হবে। তাই স্ক্যান করার আগে ইউআরএল বা সোর্স যাচাই করে নিতে হবে।
২. ইউআরএল:
লিংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সময় লিংকে ক্লিক করার আগে এর ইউআরএল দেখে নিতে হবে ভালো করে। সন্দেহজনক নাম বা ডোমেইন দেখলে ক্লিক করবেন না এতে অর্থহানি হতে পারে।
৩. ব্র্যান্ডিং এবং ডিজাইন:
অনেক সময় হুবহু নকল করে ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখেন। তবে কিউআর কোডের ক্ষেত্রে কিছু ফারাক থেকে যায় যেমন লোগো, রং বা ডিজাইনের অল্প তফাৎ থেকেই যায়। তাই স্ক্যানিংয়ের আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলি নজরে রাখতে হবে।
৪. সিকিওর কিউআর কোড:
পেমেন্টের ক্ষেত্রে সুরক্ষিত কিউআর কোড ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হয়। এক্ষেত্রে চেনার জন্য এনক্রিপশন এবং ট্যাম্পার প্রুফ ডিজাইনের ব্যবহার থাকে।
আরও পড়ুন: নেইল কাটারের শেষ প্রান্তে থাকে ছিদ্র, কি কাজে লাগে জানলে চমকে যাবেন
৫. কিউআর কোডের অবস্থান:
সাধারণত কোথায় কিউআর কোড রয়েছে তার উপর নির্ভর করে যে এর ঝুঁকি আছে কিনা। মিলতো অফিসিয়াল ডকুমেন্টে, ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা কোনো নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে কিউআর কোড দিয়ে পেমেন্ট করলে ঝুঁকি কম থাকে।
৬. হানি ট্র্যাপ:
ইমেইল, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কিউআর কোড রিকোয়েস্ট পেলে কখনোই ওই লিংকে ক্লিক করবেন না সেটি হানি ট্র্যাপ হতে পারে।
৭. ডিভাইস সিকিউরিটি:
শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যাম নয় নিজের মোবাইলের সফটওয়ার বা বিভিন্ন সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশন নিয়মিত আপডেট করে রাখতে হবে।