২০২৫ সাল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎবাণী বাবা ভাঙ্গার, কি আছে কপালে?

ছোটো থেকেই ভবিষ্যতের কথা আগে থেকেই জানতে পারতেন বাবা ভাঙ্গা। ১২ বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান তিনি। জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বুলগেরিয়ার বেলাসিকা পর্বতের রুপাইট এলাকায় কাটিয়েছেন। তার একের পর এক ভবিষ্যৎবাণী ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ১৬ শতাব্দী থেকে বিশ্ব নস্ট্রাডামাসের ভবিষ্যৎবাণী শুনে আসছে। বাবা ভাঙ্গা এক্ষেত্রে নতুন।

বাবা ভাঙ্গা একজন বুলগেরিয়ান জ্যোতিষী ও দ্রষ্টা ছিলেন। জন্মের পর তার নামকরণ করা হয়েছিল ভ্যাঞ্জেলিয়া গুশতেরোভা পান্ডেভা। বাবা শব্দটি একটি বুলগেরিয়ান শব্দ। যার অর্থ বৃদ্ধা মহিলা বা ঠাকুরমা। ১৯১১ সালের ৩১ শে জানুয়ারি বুলগেরিয়ার স্ট্রুমিকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্র ও দূরদর্শিতায় পারদর্শী তিনি। ক্রমেই হয়ে ওঠেন একজন স্বনামধন্য জ্যোতিষী।

২০২৫ সালের জন্য বেশ কয়েকটি ভবিষ্যৎবাণী করেছেন বাবা ভাঙ্গা। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালেই পৃথিবীর ধ্বংসের সূচনা হবে, কিন্তু ৫০৭৯ সালের আগে মানবজাতির সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটবে না। ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি উল্লেখযোগ্য সংঘাত দেখা দেবে, যার ফলে ইউরোপের জনসংখ্যা হ্রাস পাবে। ২০৪৩ সালের মধ্যে মুসলিম শাসন ইউরোপে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলবে। ২০৭৬ সালের মধ্যে, বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ট শাসন পুনরায় আবির্ভূত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২৫ সালে বহির্বিশ্ব অর্থাৎ ভিনগ্রহীদের সঙ্গে পৃথিবীবাসীর যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, টেলিপ্যাথির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটতে পারে বলে দাবি করে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা।

আরও পড়ুন: ভারতের এই পাঁচ জায়গায় রয়েছে সরস্বতী মন্দির, যেখানে পা দিলেই খুলে যাবে জ্ঞান চক্ষু

তাঁর দাবি অনুযায়ী, এরপর থেকে মনের কথা প্রকাশ করতে আর মুখ খুলতে হবে না মানুষকে। বরং একে অপরের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে উঠবে। বুলি না আউড়েই পরস্পরের কথা বোঝা সম্ভব হবে। বাবা ভাঙ্গার বেশ কয়েকটি ভবিষ্যৎবাণী আজও চর্চায়। যেমন- ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের সুনামির পূর্বাভাস, ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর ভবিষ্যদ্বাণী।

বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালের ১১ অগাস্ট প্রয়াত হন। তিনি ব্রাজিলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এবং মারাত্মক বন্যার বিষয়েও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার উত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীতে প্রধান শহরগুলির প্লাবনের পরে নতুন জলজ সাম্রাজ্য গড়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *