কুতুবমিনার ছাড়িয়ে যাবে হাওড়া টাওয়ার, কবে হবে উদ্বোধন?

হাওড়া জেলার মুকুটে জুড়তে চলেছে আরও একটি পালক। এতদিন পর্যন্ত হাওড়া স্টেশন ছিল হাওড়া জেলার অন্যতম গর্বের বিষয়। এবার তৈরি হতে চলেছে এক সুবিশাল টাওয়ার। কলকাতার শহীদ মিনার কিংবা বিশ্ব বাংলা গেটের থেকেও উচ্চতায় বড়। এই টাওয়ার তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে কয়েক মাসের মধ্যেই। হাওড়া স্টেশনের কাছে তৈরি হচ্ছে এই টাওয়ার। যারা ইতিমধ্যেই স্টেশনে গিয়েছেন তাদের নজর নিশ্চয়ই এড়ায়নি এই সুবিশাল টাওয়ার। হাওড়া টাওয়ার থেকে দেখা যাবে শহরের অনেকটাই।

আসলে এই টাওয়ারটি নিয়ে সকলের মনে নানারকম প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। এই আসলে ঠিক কি তৈরি হচ্ছে জানেন কি? সঠিক উত্তর জানতে পারবেন না অনেকের কাছ থেকেই। আসলে হাওড়া টাওয়ারটি হল একটি নজর মিনার। যেটা বিশ্ব বাংলা গেট কিংবা কুতুব মিনারের থেকেও বড়। দূর দূরান্ত দেখতে গেলে ওপরে উঠলেই সব দেখা যাবে। এই টাওয়ারে থাকবে টেলিস্কোপ, রেস্তোরাঁ, বিরাট বেসমেন্ট।

একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে যে, হাওড়া টাওয়ারটির উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার। কুতুব মিনারের থেকে এই মিনার প্রায় ৩৮ মিটার চওড়া, উচ্চতায় বিশ্ব বাংলা গেটের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। শহীদ মিনারের থেকেও উচ্চতায় বেশি। যারা হাওড়া ষ্টেশন থেকে যাতায়াত করছেন তারা নিশ্চয়ই দেখবেন এই টাওয়ারটি। কিন্তু এই টাওয়ারের সঠিক অবস্থান কোথায়?

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার, অভিযোগ তুলে চরম বিক্ষোভ দেউচা-পাচামিতে

বেলিলিয়াস পার্কের কাছে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ও অতিকায় এই মিনারটি। এই নজর মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে ডুমুরজলা ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং হাওড়া ময়দান সংলগ্ন বাইপাসের কাছেই। একটি বেসরকারি গ্রুপের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই মিনারটি তৈরি করার। দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে হাওড়া পুরনিগম।

এই নজর মিনার লম্বায় যেমন বিশাল, তেমনি এই মিনারটির ভিড় মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, মাটির নীচে ভিত রয়েছে দশ তলার সমান অর্থাৎ যদি কোনো কারণে ভূমিকম্প হয় এই নির্মাণ টিকে থাকবে। ভূমির সঙ্গে এর পরিধি প্রায় ৪০ মিটার। এই নজর মিনার তৈরি করতে ১,৪০০ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। হাওড়ার এই টাওয়ারটির পর্যবেক্ষণ মঞ্চ মাটি থেকে ১২০ মিটার উঁচুতে রয়েছে। সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দেখা যাবে, এমন টেলিস্কোপ বসানো থাকবে। এর মেঝে প্রায় ২,০০০ স্কোয়ার ফুটের। এছাড়াও এই মিনারের নীচে থাকবে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। থাকবে দুটো ডেক, একটা ব্যাঙ্কোয়েট হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *