প্রাকৃতিকভাবে এই জায়গায় পুরুষদের থেকে পিছিয়ে রয়েছে নারীরা, কোথায় জানেন?

সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে মানুষের বাস। তবে সব জায়গার মানুষ সমান নয়। মূলত পরিবেশ অনুযায়ী মানুষের আচার-আচরণ, দৈহিক গঠন সমস্ত কিছু তৈরি হয়। নারী-পুরুষ সবদিক থেকে সমান সমান বলা হলেও বর্তমানের এক গবেষণায় উঠে এলো অন্য তথ্য। জেনোয়া বিশ্বভারতীর এক সমীক্ষা বলছে নারী ও পুরুষ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমান সমান হলেও প্রাকৃতিকভাবে সমান নয়। এদিক থেকে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। কোন দিক থেকে?

সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পুরুষ নারীর সমতা নিয়ে এক সমীক্ষা করা হয়। প্রায় ৬২টি দেশের উপর ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে হু নারী পুরুষের যে ডেটা তৈরি করেছে সেই তথ্য খতিয়ে দেখেছে বিজ্ঞানীরা। আর সেই সমস্ত তথ্য সমীক্ষা সমস্ত কিছু নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছে দৈহিক ওজন, উচ্চতা, ক্ষমতার দিক থেকে পুরুষরা নারীদের তুলনায় অনেক শক্তিশালী।

মূলত পশু-পাখি থেকে শুরু করে মানুষ প্রত্যেক প্রজন্মই তার ভবিষ্যতের প্রজন্মকে বহম করে। অর্থাৎ বর্তমান প্রজন্মের উপরে নির্ভর করে আগামী প্রজন্ম। আর সেদিক থেকে দৈহিক শক্তির তফাৎ ঘটে। বর্তমান প্রজন্মের তুলনায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষমতা বা শক্তি অনেকটাই বেশি হয়। আর সেই দিক থেকেই নারীদেরকে পিছনে ফেলেছে পুরুষরা। তথ্য বলছে পুরুষদের প্রতিটি প্রজন্মেই দেখা যাচ্ছে নারীদের তুলনায় বেশি ক্ষমতাবান।

আরও পড়ুন: সন্তানের ১০ বছর বয়স আগেই শেখান এই ৯ গুণ, পিতামাতা হিসেবে গর্ব হবে আপনারও

সমীক্ষা বলছে প্রজন্ম যত এগিয়েছে ততই মানুষের দৈনিক উচ্চতা, ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেদিক থেকে দেখা গিয়েছে যেখানে ০.২ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে একজন নারীর উচ্চতা সেখানে একজন পুরুষের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৫ ইঞ্চি। শুধু তাই না, প্রতি ইঞ্চিতে ১৪ পাউন্ড করে অধিক বেশি পেশীশক্তির অধিকারী হয়েছে পুরুষরা। যা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অনেক ক্ষমতাবান তৈরি করেছে।

তাই প্রাকৃতিক নিয়মে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা অনেক সুস্থ স্বাভাবিক দেহের হয়ে থাকেন। তবে শুধু দৈহিক উচ্চতা, ওজনের ক্ষেত্রে নয়। যৌনগত দিক থেকেও নারীদেরকে মাত দিয়েছেন পুরুষরা। ছেলে মেয়েদের যৌনাঙ্গের গঠন প্রমাণ করে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় কতটা যৌনগতভাবে শক্তিশালী। আর এইসব দিক থেকেই যুগ যুগ ধরে নারীদেরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন পুরুষ জাতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *