Earthquake: ফের কেঁপে উঠল সাবেক বর্মা, আগামীতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা এশিয়ার ৩ দেশের

Earthquake

Earthquake: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে এক ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী বিপর্যয় হলো ভূমিকম্প। যা মুহূর্তের মধ্যেই সাজানো গোছানো শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে। সম্প্রতি যার সাক্ষী হয়েছে মায়ানমার, সাবেক বর্মা মুলুক। আর এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার ৩ শক্তিধরকে সতর্কবার্তা দিয়েছে বহু বিজ্ঞানীরা। কোন তিন দেশ? সেই তালিকায় ভারত কি রয়েছে? কতটা বিপদজনক?

মায়ানমার-সাবেক বর্মার ভূমিকম্প

১৭০০ সালের মেগা ভূমিকম্পের পর বড়সড় ভূমিকম্পের (Earthquake) সাক্ষী হয় মায়ানমার। ২৮শে মার্চ কয়েক মুহূর্তের মাটি কম্পনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বার্মার দেশ। যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৭। ঠিক তার দু সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থাৎ ১৩ই এপ্রিল মাটি কম্পনে দুলে ওঠে সাবেক বর্মা মুলুক। যার রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৫.৬। আর এই ঘন ঘন ভূমিকম্পের আঘাতে আশঙ্কা ছড়িয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে আগামীতে কোন এলাকাগুলি ভূমিকম্প প্রবণ? এদিক থেকে ভারত কতটা বিপদ-শঙ্কা?

আগামীতে ভূমিকম্পের (Earthquake) সতর্কবার্তা তিন দেশে

বারংবার ভূমিকম্পের প্রভাবে ভবিষ্যতে বেশ কিছু ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ করেছে বিজ্ঞানীরা। সেই জায়গাগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে ভূবিশেষজ্ঞরা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভবিষ্যতে ভূমিকম্পে মায়ানমার, সাবেক বর্মা মূলকের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এশিয়ার তিন দেশে। আর সেই তিন দেশ হল চীন, জাপান ও ভারত। যার মধ্যে জাপান বিশেষজ্ঞরা বড় ধরনের ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা জারি করেছে। যার রিখটার স্কেলের মাত্রা পৌঁছতে পারে ৯এ। যা শুনে ঘুম উড়েছে জাপানের ১৯ লক্ষ মানুষের। তবে এই ভূমিকম্প কোন জায়গায় তীব্র হবে তা অস্পষ্ট।

উত্তর ভারতের বিশেষ সতর্কবার্তা

অন্যদিকে ভূবিজ্ঞানীরা ধরনের ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা জানিয়েছে নয়াদিল্লিকে। ভূতাত্বিকদের দাবি বিরাট ভূমিকম্পের (Earthquake) সম্মুখীন হতে পারে গ্রেট হিমালয়ান। যার প্রভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে গোটা উত্তর ভারত। ৮এর উপরে পৌঁছাতে পারে ভূমিকম্পের তীব্রতা। প্রাণহানির আশঙ্কা প্রায় ৩০ কোটি মানুষের। পাশাপাশি ধূলিস্মাৎ হতে পারে ভারতের একাধিক শহর।.কোন কোন শহর?

আরও পড়ুন: ৫ দশকে আমূল পরিবর্তন এয়ারপোর্টে, বোর্ডিং পাস, পাসপোর্ট চেক ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে এয়ারপোর্টে

উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন ভারতের একাধিক শহর

ভূবিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী ধীরে ধীরে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট তিব্বতীয় টেকটনিক প্লেটের নিচের দিকে চলমান হচ্ছে। যা আনুমানিক দু মিটার করে প্রতি শতাব্দীতে চলমান হচ্ছে। আর এই ঘর্ষণের বলে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাশাপাশি চলনের ফলে তৈরি হচ্ছে অফুরন্ত শক্তি। যা একসময় নির্গমন শুরু করলেই দুলে উঠবে ভারতের মাটি। আর এই ভূকম্পনের জন্য বিশেষ ঝুঁকি সম্পন্ন রয়েছে বিহার, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্য। ফলস্বরূপ ভূকম্প বোমায় অবস্থিত রয়েছে গোটা উত্তর ভারত। মাটি কাঁপলেই হতে পারে ভয়ংকর বিস্ফোরক।

সর্বোচ্চ ভূমিকম্প

তবে তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকম্পের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৮৬ বার মাটি কেঁপে উঠেছে চীনের। পাশাপাশি সহ্য করতে হয়েছে বিধ্বংসী সুনামি। ইন্দোনেশিয়া, ইরাক ও জাপান রয়েছে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। ভূমিকম্পের (Earthquake) সংখ্যা ১৬৬, ১০৯ ও ৯৮ বার। অন্যদিকে ভারত রয়েছে সপ্তম স্থানে। গত সাড়ে তিন দশকে ৫৮ বার মাটি কেঁপে উঠেছে নয়াদিল্লির। তবে ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিচ্ছে ভূবিজ্ঞানীরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version