Starlink and Jio: স্টারলিংক এবং জিওর মধ্যে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা? সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা

Starlink and Jio

Starlink and Jio: এইবার কি তবে স্টারলিংক এবং জিওর মধ্যে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকেশ আম্বানিকে নিয়ে করা একটি মিম ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সেই মিমে বলা হয়েছে মুকেশ আম্বানি নাকি স্টারলিংক (Starlink) সংস্থাটিকে খুব ভয় পাচ্ছেন। পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স এর একটি হ্যান্ডেল থেকে। পোস্টটি এতটা ভাইরাল হওয়ার সব থেকে বড় কারণ হলো এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করেছেন স্বয়ং ইলেন মাস্ক। তিনি বলেছেন তিনি নিজে ফোন করে খোঁজ নেবেন। যদি সমস্যা না হয় তাহলে ভারতবর্ষের মানুষকে পরিষেবা দেবার সুযোগ যেন করে দেওয়া হয় স্টারলিংককেও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই ভারতীয় বাজারে ব্যবসা করতে চাইছিলেন ইলেন মাস্ক। স্টারলিংককে (Starlink) হাতিয়ার করে ভারতীয় টেলিকম মার্কেটে প্রবেশ করতে চাইছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এই মিমটি যেন তাকে সেই পথেই এক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করল। এই মিমের কমেন্টের মধ্য দিয়ে তিনি সরাসরি মুকেশ আম্বানির কাছে তথা ভারতের কাছে একটি প্রস্তাব রাখলেন। বলা ভালো মুকেশ আম্বানিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল এই কমেন্টটি।

ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইলেন মাস্ক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারত ঘোষণা করেছে এখন থেকে আর স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রাম বন্টনের ক্ষেত্রে কোন নিলাম হবে না। যদিও এতদিন পর্যন্ত এই কাজটি নিলামের মাধ্যমেই হয়ে এসেছে। জিও বা এয়ারটেল এর মতন সংস্থাগুলি নিলামের পদ্ধতিটিকে বেশি সমর্থন করে এসেছেন। কিন্তু এখন থেকে আর তা হবে না। এখন থেকে সরকার নিজের দায়িত্বে স্পেক্ট্রাম বন্টন করবে। ইলেন মাস্কও বরাবরই এই নিলাম পদ্ধতির বিরোধিতাই করে এসেছেন।

আরো পড়ুন: মুকেশ আম্বানির বড় পদক্ষেপ, আইপিএলের আগে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জিও সিনেমা

পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রামের বন্টন হয়ে থাকে প্রশাসনিক ভাবেই। কিন্তু ভারতে এতদিন পর্যন্ত তা হতো নিলামের মাধ্যম। নিলামের মাধ্যমে এই বন্টন প্রক্রিয়া চললে তাতে উপকৃত হতেন মুকেশ আম্বানি বা এয়ারটেল এর কর্ণধারদের মতন ধন কুবেরেরা। কিন্তু অ্যামাজন বা স্টারলিংক (Starlink and Jio) এই পদ্ধতির বিরোধিতা করেছে। ইলেন মাস্ক বলেন ভারত যেহেতু রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের সদস্য তাই বিশ্বের বাকি দেশগুলির মত একই নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত ভারতেরও। সম্প্রতি ভারতের টেলিকম মন্ত্রী জানিয়েছেন এখন থেকে ভারতও প্রশাসনিক ভাবেই স্পেক্ট্রাম বন্টন করবে।

যদিও এই প্রসঙ্গে এয়ারটেল এবং জিওর কর্ণধার উভয়পক্ষের তরফ থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন বাজারের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে চাইলে স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রাম বন্টনের বিষয়টি নিলামের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এয়ারটেল তাকে সমর্থনও করেছে। এই নিয়ে সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন তারা। কিন্তু ভারতের বর্তমান টেলিকম মন্ত্রী এই আবেদনের উত্তরে জানিয়েছেন, বিশ্বের বাকি দেশগুলি যে নিয়ম মেনে কাজ করে সেই একই নিয়মে কাজ করতে চলেছে ভারত। কোন বেনিয়ম হচ্ছে না। এখন এই লড়াইয়ের মাঝে স্টারলিংক (Starlink) কোন ভাবে ভারতে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে কিনা তা জানতে আগ্রহী সমগ্র ভারতবাসী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version