SIP Calculator: সন্তানের জন্মের পরই ২০০০ টাকার SIP শুরু করুন, কত টাকা জমবে জানুন বিশদে

SIP Calculator

SIP Calculator: আজকাল যে হারে জিনিসপত্র থেকে শিক্ষার মূল্য বাড়ছে তাতে করে বাচ্চার জন্মের সময় থেকেই তার ভবিষ্যতের বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। এরপর থাকছে তার বিয়ে এবং আনুসঙ্গিক কিছু খরচও। এতে করে বাবা-মায়ের উপরের বাড়তি চাপ এড়াতে যদি বাচ্চা জন্মের সময় থেকেই প্রতি মাসের একটি SIP করে রাখেন তবে খরচের চিন্তা আর করতে হবেনা। বিশেষত উচ্চ শিক্ষা এবং বিবাহের খরচের জন্য আর ভাবতে হবেনা। একসাথে অনেক টাকা যোগাড় করার সমস্যা এড়াতে মাসে মাসে অল্প টাকার বিনিয়োগ করলে একসঙ্গে মোটা টাকা রিটার্ন পেতে পারেন।

আর এই জন্যই সন্তান জন্মানোর পর থেকেই যদি অল্প পরিমাণ টাকা প্রতিমাসে জমাতে থাকেন তবে সন্তানের বেড়ে ওঠার সাথে ওই টাকার অঙ্কও বেড়ে দ্বিগুণ রিটার্ন পেতে পারেন। তবে এর জন্য অবশ্যই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর SIP সিস্টেমে টাকা জমানো শুরু করতে হবে। SIP হলো সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোসেস বা ধারাবাহিক টাকা জমানোর উপায়। তাহলে সন্তানের জন্মের মাস থেকেই যদি কোনো ব্যক্তি ২০০০ টাকার একটি SIP শুরু করেন তবে ২০ বছর পর যা রিটার্ন পাবেন চলুন দেখে নিই SIP Calculator-এর মাধ্যমে।

প্রতিমাসে ২০০০ টাকার বিনিয়োগ করলে ১২% সুদের হারে ২০ বছরে রিটার্ন পেতে পারেন ২১ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে সুদের পরিমাণই থাকবে ১৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ২০ বছর ধরে মাত্র ৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে ওই ব্যক্তি ১৬ লক্ষ টাকার একটি মোটা রিটার্ন পেতে পারেন অর্থাৎ জমা টাকার তিন গুণের বেশি। এছাড়া ওই ব্যক্তি যদি বিনিয়োগের সময় (SIP Calculator) বার্ষিক ১০% হারে বিনিয়োগের সেট আপ করেন সেক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ওই ব্যক্তি ৩৯,৭৭,৭৪৩ টাকার একটা দৈত্যাকার রিটার্ন পেতে পারেন। যার মধ্যে ২৬,০৩,১৪৩ টাকা পাওয়া যাবে সুদ হিসেবে।

আরো পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য সুখবর, উপার্জনের পথ দেখাচ্ছে এসবিআই

তবে বার্ষিক সেট আপ করে রাখা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে যেতে হয়। এর ফলে (SIP Calculator) টাকার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি সন্তানের জন্মের সময় যদি প্রতি মাসে ২০০০ টাকার বিনিয়োগ শুরু করে তবে তিনি। ২০ বছরের মধ্যে ২১ লক্ষ টাকার একটি বিশাল ফান্ড গড়ে তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ প্রতি মাসে অপরিবর্তিত থাকবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (SIP Calculator) জমা টাকার এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে মোটা টাকা রিটার্ন দেওয়া হয় যার অর্থ যত বেশি টাকার বিনিয়োগ এবং সর্বাধিক যত সময় পর্যন্ত বিনিয়োগ করে যাওয়া যেতে পারে সেই ক্ষেত্রে রিটার্ন তত বেশি হবে। এবং এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা টাকার তিন গুণ বা তারও বেশি রিটার্ন পাওয়া সহজ হয়ে ওঠে। যার ফলে সন্তানের উচ্চ শিক্ষা এবং বিয়ের খরচের জন্য আর ভাবতে হয়না পিতামাতাকে।

এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন লোকাল সংবাদ এর পাতায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version